Advertisement

A Love letter একটি প্রেম পত্র –

shailobdViralMystery2 weeks ago1.4K Views

Many travelers come and go along the river, the boatman does not keep any notice of them.
But suddenly, the boatman becomes blessed at the touch of a traveler’s foot. You are the same in my life- চিঠিটির শেষাংশে লেখা ছিল –
নদী দিয়ে অনেক পথিক যায় আর আসে, মাঝি তার কোন খবর রাখে না।
কিন্তু হঠাৎ কোনো পথিকের পাদ স্পর্শে মাঝি হয়ে যায় ধন্য। আমার জীবনে তুমিও ঠিক তাই-

 

A few years later, I was an SSC examinee. A cousin of mine came to visit our house. He had a very beautiful and smiling face. Anyone who saw him would like him. He would want to love him. That is normal. At that time, I was busy preparing for the exam. Many people in the neighborhood would come to see me for no reason just to catch a glimpse of my cousin. Even though I understood their intentions, I would avoid them skillfully. The exam time approached. The exam center was very far away. That is why my father rented a room and sent me there long before the exam. On the day of my departure, my cousin’s eyes became quite mischievous. He said- Maybe we will not meet again. I smiled and said- Why not? I will go to see you after completing my SSC exam. Hearing my words, a fountain of happiness started flowing in my cousin’s eyes. – Are you really going?
I said- Of course I will.
The first day of the SSC exam went well and I felt very happy inside. After the exam, I told my father, “Dad, I have three days off before the next exam. Should I leave the house?” My father agreed to my request. He said, “Okay. You will come back tomorrow. Your mother will be happy.” After finishing the exam, I returned home with my father that evening. My cousin was staying at our house until then. Seeing me again made me feel like I was floating in a sea of ​​happiness.
I was sitting at the study table. My cousin pulled a chair and sat next to me. This was the first time he sat very close to me. He whispered, “There is so much going on. Do you think I don’t understand anything?” I was quite surprised and said, “I mean!”
“I mean. What is this? That love letter in my cousin’s hand.” I said, “This letter is not mine.”
My cousin laughed and said, “You think I am stupid, don’t you?” After you left, I was looking for books in your drawer and found this love letter. Wow, such deep love. Can anyone write to someone about such deep love? I didn’t go to you to hear your love story, I went there and there. I will leave tomorrow.
I swore – believe me, this love letter is not mine. I don’t even know how it got to my address.
Cousin smiled again and said – Wait. It’s done. You don’t have to explain anymore. I understand what needs to be understood. Now understand what I’m saying – I love you.
I finished my SSC exam. Again, my uncle called me and gave me a letter. I was surprised. The envelope of this letter was intact, that is, uncle had not read the letter. Father said – whose letter is it? Give it to me. I handed the letter to my father. Opening the envelope, father read the letter and handed it to me without answering. I saw the letter written by my cousin –
My father stood and waited until I finished reading the letter. I understood that my father might say something. When I finished reading the letter, my father asked in a calm voice, “Do you want to answer this letter?”
I looked at my father’s calm and gentle face and said – No, father. I will not write.
This time the letter is not a love letter, but it is undoubtedly one that gives rise to quite an emotional moment. Some words of that letter are still stored in my memory, which when I think of them, I still remember the happy moments of my childhood.
So finally, I have presented some parts of the last part of that letter for the reader –

the last part of the letter –

  • Many travelers come and go along the river, the boatman does not keep any notice of them.
    But suddenly, the boatman becomes blessed at the touch of a traveler’s foot. You are the same in my life-

 

 

একটি প্রেম পত্র –

আমি তখন গ্রামের বাড়ির স্কুলে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। গ্রাম থেকে প্রায় কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত ছিল হাট। সে’ হাটেই ছিল ডাকঘর। পোস্ট অফিস ছিল তখনকার সময়ে যোগাযোগের উত্তম মাধ্যম। মেজ কাকাবাবুর দোকান ছিল সেই হাটে। সেই সুবাদে চিঠিপত্র যোগাযোগের ঠিকানা হিসেবে মেজ কাকা বাবুর দোকানের ঠিকানা বাড়ির সবাই ব্যবহার করতো। মেজ কাকাবাবুর বেশ মজার একটা শখ ছিল, সেটা হল- উনার ঠিকানায় যার যত চিঠিপত্র আসবে, সে চিঠিপত্র নিজে খুলে পড়ে তারপর নির্দিষ্ট প্রাপকের কাছে পৌঁছাতেন। কি জানি হয়তো তিনি তাতেই আনন্দ পেতেন।
একদিন সন্ধ্যায় মেজো কাকা বাবু এসে উঠানে দাঁড়িয়ে গম্ভীর গলায় আমার নাম ধরে ডাকলেন। আমি কিছুটা ভয়ে কিছুটা সংকোচে ওনার ডাকে সাড়া দিলাম। মা তখন সন্ধ্যা পুজায় ব্যস্ত। মা তড়িঘড়ি করে আসন ছেড়ে আমার সাথে বেরিয়ে এলেন। মেজ কাকাবাবু চিঠি ভর্তি একটি খাম আমার হাতে এগিয়ে দিয়ে বললেন- তোমার চিঠি।
পেছন থেকে মা বলে উঠলেন- কার চিঠি। কোথা থেকে এলো।
কাকাবাবু আরো গম্ভীর গলায় বললেন- ওকে জিজ্ঞেস করেন। তারপর আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন- মাথা থেকে এইসব বাদ দিয়ে লেখাপড়ায় মনোযোগী হও। এই বলে তিনি প্রস্তান করলেন। মা কিছুটা বিস্মিত হয়ে বললেন- পড়ে দেখ্। আমি কেবল অবাকই হলাম না বরং ভিতরে ভিতরে শিওরে উঠলাম। ভাবতেই পারছিলাম না আমার চিঠি। তাও আবার কাকাবাবুর ঠিকানায়। খামের ছেঁড়া অংশ দেখে বুঝতে বাকি রইলো না মেজ কাকাবাবু ঠিকই এই চিঠি পড়ে নিয়েছেন। আমি কিছু না বলে চিঠিটি নিয়ে ঘরের ভিতরে চলে এলাম। মা আমার পেছনে পেছনে আমার রুমে ঢুকলেন।
চিঠিটি ছিল একটি গোপন গভীর প্রেমপত্র।
মা বললেন- কি হলো? কার চিঠি?
আমি বললাম- আমি জানিনা। তবে চিঠিটি আমার নয়।
মা কথা না বাড়িয়ে আসন ঘরে এগিয়ে গেলেন। আমি বারবার চিঠিটি পড়লাম। চিঠিটির ভাষা এবং ঘটনায় প্রেমের এতই গভীরতা ছিল যে, যে কেউ এই চিঠি পড়ে আমাকে সার্থক প্রেমিকের আসনে বসানোর সুযোগ পাবে। আমি ভাবছি এই চিঠি আমার ঠিকানায় এলো কি করে? প্রাপকের ঠিকানা বেশ ভালো করে পড়লাম প্রাপকের ঠিকানায় আমার নাম ঠিকানা। মনে মনে ভাবলাম, কি যে কেলেঙ্কারি ঘটে গেল। কিভাবে প্রমাণ করবো এই চিঠি আমার চেনা পরিচিত কারো না। মনে মনে ভাবলাম কাকাবাবুর রেগে যাওয়া অস্বাভাবিক কোন কিছুই না। এই বয়সে এমন পাকামো কোন অভিভাবক মেনে নেবে না। মনটা ভীষণ খারাপ হয়ে গেল। অপরাধ না করেও অপরাধীর মতো মার কাছে গিয়ে হাজির হলাম। আমার হাব-ভাব লক্ষ্য করে মা বলে উঠলেন- কি হলো কার চিঠি কিছুই তো বললি না। তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন?
মাকে সব খুলে বললাম। সব শুনে মা বললেন- এতে তোর দোষ কোথায়? এ’রকম ভুল ঠিকানায় যে কারো চিঠি আসতেই পারে। যা চিঠিটি রেখে দে। যদি কোন দিন কেউ খোঁজ করে দিয়ে দিস্। ঘটনাটি মা স্বাভাবিকভাবে নেয়ায় মনে মনে বেশ স্বস্তি পেলাম কিন্তু অন্যদের কি করে বুঝাই? আমার প্রেমের কাহিনী সমস্ত পাড়াময় বেশ চর্চা হতে শুরু হলো।
একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে কাকা সম্পর্কের একজন বলে উঠলেন- কিরে চুটিয়ে প্রেম তো করছিস। লেখাপড়ায় মন আছে তো? নাকি সেটাও শিকেই তুলেছিস। আমি মাথা নিচু করে করলাম। ঘরে ফিরে মাকে বললাম। মা সান্ত্বনা দিয়ে বললেন- যে যা বলুক তুই তোর জায়গায় ঠিক থাকিস বাবা। আপনি ভালো তো জগৎ ভালো। কে কি বলল তাতে তোর কিছুই আসবে যাবে না।

কয়েক বছর পরের ঘটনা- আমি তখন এসএসসি পরীক্ষার্থী। আমাদের বাড়িতে আমার এক কাজিন বেড়াতে এলো। খুব সুন্দর হাস্যোজ্জল চেহারা। তাকে দেখে যে কারুরই ভালো লাগবে। ভালোবাসতে ইচ্ছে করবে। সেটাই স্বাভাবিক। আমি তখন পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে মহাব্যস্ত সময় পার করছি। কাজিন টাকে এক নজর দেখার উছিলায় পাড়ার অনেকেই বিনা কারণে আমার সাথে দেখা করতে আসতো। আমি তাদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেও কৌশলেএড়িয়ে যেতাম। পরীক্ষার সময় ঘনিয়ে এলো। পরীক্ষার সেন্টার ছিল অনেক দূরে। সে’ কারণে পরীক্ষার অনেক আগেই বাবা একটা রুম ভাড়া করে আমাকে সেখানে পাঠিয়ে দিলেন। আমার চলে আসার দিন কাজিনটার চোখ বেশ ছলছল করে উঠলো। বললো- আর হয়তো দেখা হবে না। আমি হেসে বললাম- কেন হবে না? আমি এসএসসি পরীক্ষা শেষ করে তোমাকে দেখতে যাবো। আমার কথা শুনে কাজিনের চোখে মুখে কেমন যেন খুশির ফোয়ারা বইতে শুরু করলো। – সত্যি যাবে তো।
আমি বললাম- অবশ্যই যাবো।
এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিন পরীক্ষা বেশ ভালো হলো ভেতরে ভেতরে বেশ আনন্দ লাগছে। পরীক্ষা শেষে বাবাকে বললাম- বাবা আগামী পরীক্ষার আগে তিন দিন বন্ধ আছে। বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসি? বাবা ও আমার কথাই রাজি হয়ে গেলেন। বললেন- বেশ চল কাল আবার চলে আসবি। তোর মা খুশি হবেন। পরীক্ষা শেষ করে বাবার সাথে সেদিন সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরলাম। কাজিন টা তখন অবধি আমাদের বাড়িতে অবস্থান করছিল। আমাকে আবার দেখতে পেতেই কেমন যেন আনন্দের সাগরে ভাসতে থাকলো।
আমি পড়ার টেবিলে বসা কাজিন একটি চেয়ার টেনে আমার গা ঘেঁষে এসে বসলো। এই প্রথম সে’ আমার খুব কাছাকাছি ঘনিষ্ঠ হয়ে বসলো। ফিস্ ফিস্ করে বলল- তলে তলে এত কিছু। ভাবছো আমি কিছুই বুঝিনা। আমি বেশ অবাক হয়ে বললাম- মানে!
-মানে। এটা কি? কাজিনের হাতে সেই Love letter.
আমি বললাম- এই চিঠি আমার নয়।
কাজিন হেসে উঠে বলল- আমাকে বোকা মনে করো তাই না? তুমি যাবার পর তোমার ড্রয়ারে বই খুঁজতে গিয়ে এই লাভ লেটার খুঁজে পেলাম। বাহবা এত গভীর প্রেম। এত গভীর প্রেমের কথা কেউ কি কাউকে লিখতে পারে। তোমার কাছে তোমার প্রেমের কাহিনী শুনব বলে, যাব যাব করে যাইনি। কাল চলে যাবো।
আমি শপথ করে বললাম- বিশ্বাস করো এই প্রেমপত্র আমার নয়। আমার ঠিকানায় কি করে আসলো তাও আমি জানি না।
কাজিন আবারো চমৎকার হাসি হেসে বলল- থাক্। হয়েছে। আর বুঝাতে হবে না। যা বুঝার বুঝেছি। এবার আমার কথা বুঝে নাও – আই লাভ ইউ।
এসএসসি পরীক্ষা শেষ করলাম। আবারও মেজ কাকা বাবু ডেকে একটি চিঠি দিলেন। অবাক হলাম। এই চিঠির খামটি অক্ষত অর্থাৎ কাকাবাবু চিঠিটি পড়েননি। বাবা বললেন- কার চিঠি দেখি? আমাকে দেয়। আমি চিঠিটি বাবার হাতে তুলে দিলাম। খাম খুলে বাবা চিঠিটি পড়ে নিরুত্তরে আমার হাতে তুলে দিলেন। দেখলাম আমার সেই কাজিনের লেখা চিঠি। আমি চিঠি পড়া শেষ করা অবধি বাবা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেন। বুঝতে বাকি রইল না বাবা হয়তো কিছু বলবেন। চিঠি পড়া শেষ করলে বাবা শান্ত কন্ঠে জিজ্ঞেস করলেন- তুমি কি এই চিঠির উত্তর দিতে চাও?
আমি বাবার শান্ত- স্নিগ্ধ মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম- না বাবা। লিখবো না।

এবারের চিঠিটি লাভ লেটার নয় তবে নিঃসন্দেহে বেশ আবেগঘন মুহূর্তের জন্ম দেয়ার মতো। এখনো সেই চিঠির কিছু কথা স্মৃতিতে জমা হয়ে আছে যা ভাবলে কৈশোরের স্মৃতিময় সুখময় মুহূর্তের কথা আজও মনে পড়ে।
তাই পরিশেষে পাঠকের উদ্দেশ্যে সেই চিঠির শেষাংশের কিছু অংশ তুলে ধরলাম –

চিঠিটির শেষাংশে লেখা ছিল-
নদী দিয়ে অনেক পথিক যায় আর আসে, মাঝি তার কোন খবর রাখে না।
কিন্তু হঠাৎ কোনো পথিকের পাদ স্পর্শে মাঝি হয়ে যায় ধন্য। আমার জীবনে তুমিও ঠিক তাই-

 

28 Votes: 20 Upvotes, 8 Downvotes (12 Points)

Leave a reply

Join Us
  • Facebook38.5K
  • X Network32.1K
  • Behance56.2K
  • Instagram18.9K

Stay Informed With the Latest & Most Important News

Advertisement

Advertisement

shailobd.com

বাংলা ও English - এ লেখা একটি Blog site

Loading Next Post...
Follow
Search
Popular Now
Loading

Signing-in 3 seconds...